Bojhena se bojhena pakhi biography sample paper
বোঝেনা সে বোঝেনা (টেলিভিশন ধারাবাহিক)
অন্য ব্যবহারের জন্য বোঝেনা সে বোঝেনা দেখুন।
বোঝেনা সে বোঝেনাস্টার জলসায় সম্প্রচারিত জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক।[১][২] এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন যশ দাশগুপ্ত,[৩]মধুমিতা সরকার সহ আরো অনেকে।[৪] হিন্দি ধারাবাহিক ইস পেয়ার কো কেয়া নাম দু ধারাবাহিকের পুনঃনির্মাণ এটি। বাংলা ভাষার এই ধারাবাহিকটি ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। বোঝেনা সে বোঝেনা টেলিভিশনে প্রিমিয়ারের দিন ধারাবাহিকটি সবচেয়ে বেশি দেখা টেলিভিশন ধারাবাহিক হিসাবে স্থান পেয়েছে। ২৮ মার্চ ২০২০ থেকে স্টার জলসায় 'জলসা ক্লাসিক' নামক ব্লকে এটি আবারো সম্প্রচারিত হচ্ছে।
কাহিনী
[সম্পাদনা]"পাখি" একটি সরল, হাসিখুশি, সংসারী মেয়ে। সে তার পরিবারকে খুবই ভালোবাসে। "অরণ্য সিংহ রায়" একজন ব্যবসায়ী। সে ভালোবাসায় বিশ্বাস করে না। তবে সে তার "অনু" দিদিকে খুব ভালোবাসে। ঘটনাচক্রে অরণ্য'র ভাইয়ের সাথে পাখি'র বোনের বিয়ে হয়। এর সূত্র ধরে অরণ্য আর পাখির মধ্যে বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে অনু দির বর কৃষ্ণেন্দু ও অরণ্য এর পুরোনো বান্ধবী পামেলা। কারণ কৃষ্ণেন্দুপাখিকে আর পামেলাঅরণ্যকে পছন্দ করে। তবে পাখি আর অরণ্য সব বাধা পেরিয়ে একে অপরকে প্রচণ্ড ভালবাসতে শুরু করে। তারা পুনর্বিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিয়ের সময় অরণ্য'র গায়ে গুলি লাগে।
ছয় মাস পর
অরণ্যকে হারিয়ে পাখি মানসিক ভারসাম্য হারায়। তাকে চিকিৎসার জন্য উদয়গড় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সে তার অরণ্যর মতো একজনকে খুঁজে পায় যে নিজেকে রাধে বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু পরে প্রমাণ হয় রাধেই অরণ্য আর কৃষ্ণেন্দু তাকে মারার পরিকল্পনা করে তা সবার সামনে প্রমাণ করার জন্য এই পরিচয় প্রকাশ করে। অরণ্যকেবিজলী বাঁচিয়েছিল বলে সে অরণ্যকে পাখির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চায়। কিন্তু অরণ্যবিজলীর সব চেষ্টা বৃথা করে দেয় এবং অরণ্যকে পাখির কাছ থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। রাজ নামে নতুন একজন তাদের মধ্যে সমস্যা শুরু করে। আসলে সে অরণ্যর সৎ ভাই। সে অরণ্যর মাকে লুকিয়ে রেখেছিল, কারণ সে মনে করত তার জন্যই সে তার বাবার অবৈধ সন্তান বলে পরিচিতি পায়। কিন্তু পরে সে তার ভুল বুঝতে পারে। এতে অরণ্যর মা বা অরণ্যর কোনো দোষ নেই, তাই সে পাখিকে ও অরণ্যর মাকে অরণ্যর কাছে ফিরিয়ে দেয়।
অভিনয়ে
[সম্পাদনা]প্রধান
[সম্পাদনা]- যশ দাশগুপ্ত - অরণ্য সিংহ রায় / রাধে
- মধুমিতা সরকার - পাখি ঘোষ দস্তিদার সিংহ রায় / খুশি
- কৌশিক রায় - কৃষ্ণেন্দু সেনগুপ্ত
- মোনালিসা পাল - পামেলা বোস
- সুদীপ মুখোপাধ্যায় - অর্ণবের বাবা
- কুশল চক্রবর্তী - শরদ ঘোষ দস্তিদার
- তানিয়া কর - পিউ সিংহ রায়
- অভিষেক বসু - অর্ক সিংহ রায়
- ময়না মুখার্জী -পরমজিত সিংহ রায়
- জন ভট্টাচার্য্য - হরিহরণ সিং ওরফে হ্যারি
- মনোজ ওঝা - সিধু মিত্র
- অলিভিয়া সরকার - গৌরী সিং
- উজানি দাশগুপ্ত - বিজলি
- ঋতা দত্ত চক্রবর্তী - সুরিলি বাই/বাই সা
- ইন্দ্রানী বসু - কনিকা সিংহ রায়
- সম্রাট মুখার্জী - রাজ মজুমদার
- ঋজু বিশ্বাস -অর্ণব (খুশি এর স্বামী)
- দেবার্পনা চক্রবর্তী - অনন্যা সিংহ রায় সেনগুপ্ত
- রেশমী সেন - সুমিত্রা ঘোষ দস্তিদার
- অনুরাধা রায় - রানিবালা সিংহ রায়
- দোলন রায় - অর্ণবের মা
বিশেষ উপস্থিতি
[সম্পাদনা]প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]টেলিভিশনে প্রিমিয়ারের দিন সিরিয়ালটি সবচেয়ে বেশি দেখা টেলিভিশন সিরিয়াল হিসাবে স্থান পেয়েছে। এটি পরে ১১.০ টিআরপি পায়। এই সিরিয়ালটি টেলি সম্মান অ্যাওয়ার্ডস (২০১৫) এ ১০ টি পুরস্কার পেয়েছে।
সঙ্গীত
[সম্পাদনা]এই ধারাবাহিকের সংগীত পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। এই টাইটেল ট্র্যাক গেয়েছেন অরিজিৎ সিং ও মধুরা ভট্টাচার্য।[৫]
পুরস্কারসমূহ
[সম্পাদনা]- টেলি সম্মান ২০১৪
- সেরা জুটি - পাখি ও অরণ্য
- জনপ্রিয় অভিনেতা - অরণ্য
- জনপ্রিয় অভিনেত্রী - পাখি
সমালোচনা
[সম্পাদনা]জনপ্রিয় এ ধারাবাহিক এবং এর মূল অভিনেত্রী পাখি চরিত্রটি ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। পরবর্তীতে, ২০১৪ সালের ঈদুল ফিতরে "পাখি ড্রেস" কিনতে না পারার অভিমানবশত বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ও গাইবান্ধায় দুইজন কিশোরী আত্মহত্যা করে।[৬]